Monday, January 21, 2019

রূপান্তর


                                                                                                           কপিলদেব সরকার


এভাবেই সেও নিজেকে গুটিয়ে রাখত
এভাবেই একা গাঢ় বিছানার আবডাল
খুঁজে নিত , আর ভাবত
প্রজাপতি যদি নাই হতে পারি, লাভ কি
যদি না ছড়ায় আলো আলো আঁচ, লাভ কি
সেই ভয়ে ভীত কাফকার পোকাজন্ম
একা থেকে আরো একক, আত্মমগ্ন
কীট থেকে হলো জীবাশ্ম এক, প্রাক্তন


সে তো নয়, তার সম্ভাবনাই থাকতো
হয়তো আকাশ-মাটি-জল জুড়ে দেখতাম
উড়ছে আগুন, কাতারে কাতার, উড্ডীন
হলদেটে আঁচ , আকাঙ্খাময়, তপ্ত
তুলে দিত ঝড়, ঝাপটায় চোখে লাগত
প্রজাপতি রোদ, স্থবিরের শীত চৌচির  ।
সেতো নয়, তার সম্ভাবনাই আঁকতো
সংশয় থেকে বিশ্বাস, মাঝে শুধু এক পোকাজন্ম

বৃত্তের চারপাশে

                                                                                                                কপিলদেব সরকার

মাস্টারমশাই, আপনি কিছুই দেখেননি।
সেই ঐতিহাসিক সত্যে বিশ্বাস রেখে
আমিও আর কিছু দেখলাম না।
কেউ বলল, অনাদি, অনন্ত।
আমি দেখলাম হাতঘড়ি, সময়ের কাঁটা,
তারপর দু'চোখ বন্ধ করলাম,
ভ্রূমধ্যে দৃষ্টি রাখতেই
দেখলাম অজ্ঞাত, অকর্মক এক সর্বময়কে।

তাই,
       গলা অবধি দেনায় ডুবে, ডুবে
অনাদিকাকা কোন্ এক কাকভোরে হঠাৎ
তলিয়ে গেল বিস্মৃতির ভিড়ে,
অনন্তর চায়ের গুমটিটা কোন্ এক হা-রাত্তিরে
গুঁড়িয়ে দিয়ে গেল সর্বগ্রাসী বুলডোজার,
আমি কিছু দেখতেই পেলাম না।

মাস্টারমশাই, আপনি আমাদের শিখিয়েছিলেন
কম্পাসের বদলে কিভাবে হাতে ধরে
নিটোলরকম বৃত্ত আঁকতে হয়।
আর বলেছিলেন, কম্পাসের আসল পরীক্ষা হল দিকনির্ণয়ে।
সেই থেকে মুঠোয়, আস্তিনের কোণে-খাঁজে, কম্পাসেরা সতর্ক আছে,
কম্পাসে চোখ রেখে বেলাগাম দিকচিহ্ন খুঁজেছি,
নির্দেশ শিরোধার্য করে অবিশ্বাস্য সব পথে হেঁটে গেছি।

শুধু সেই হাঁটা যখন
সমস্ত রাত পেরিয়ে যাবার পর‌ও শেষ হয়নি,
আর আমি প্রভাতী আলোয় চমকে উঠে দেখেছি
যেখানে ছিলাম, রয়ে গেছি সেইখানেই,
মাস্টারমশাই,
বুঝেছি আমি অনাদিঅনন্ত ঘুরে যাচ্ছি,
ঘুরে যাচ্ছি স্বনির্মিত, নিটোল
এক বৃত্তের চারপাশে।

বিদেশে বাণী বন্দনা

  প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে, বিশেষত আমেরিকার প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে , বাঙালিয়ানা আর সংস্কৃতি নিয়ে চর্চা টা একটু বেশি রকমের হয়ে থাকে। কলকাতায় ...